নেত্রকোনার পূর্বধলার শাহবাজপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও সদর উপজেলার চুচুয়া গ্রামে গৃহবধূকে উত্যক্ত কারার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় পৃথক হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ফেরদৌস ফকির(৫৫), নিশিত খান(২২), লাখ মিয়া(২০), আবদুর রশিদ ফকির(৩৫) ও লাল মিয়াকে(২৫) নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় খোকন মিয়া, শফিক ও কালা চানকে আটক করেছে পূর্বধলা থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার পূর্বধলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামের মৃত সুভাষ রঞ্জনের স্ত্রী চিন্তা রানীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের নিখিল বিশ্বাসের ছেলে চন্দন চন্দ্র বিশ্বাসের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। চন্দন বিশ্বাস ওই জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন। গত সোমবার বিকেলে এ নিয়ে চিন্তা রানীর পক্ষে গ্রামবাসী সমাবেশের ডাক দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা দেখা দেয়। সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সমাবেশ থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ৬টার দিকে ফেরার পথে মহেন্দ্রপুরে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের ওপর হামলা চালায় চন্দন বিশ্বাসের লোকজন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এতে ফেরদৌস ফকির, নিশিত খান, লাখ মিয়া, আবদুর রশিদ ফকির, লাল মিয়াসহ কমপক্ষে ১২জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খোকন মিয়া, শফিক ও কালা চানকে আটক করেছে। এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা এবং থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে সদর উপজেলার মৌগাতী ইউনিয়নের চুচুয়া গ্রামের গৃহবধূ ও তার মেয়েকে উত্যক্ত করার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যে ৬টার দিকে চুচুয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গৃহবধূও আট বছরের মেয়েকে মারধর করে ওই গ্রামের সায়েদুল। ফিরাতে গিয়ে গৃহবধূ ও বৃদ্ধা মাও হামলার শিকার হন। তাদেরকে মারধর করে সায়েদুল ও তার লোকজন।
এর আগেও বেশ কয়েকবার গৃহবধূ, স্কুল পড়–য়া মেয়ে ও ছেলের ওপর হামলা করেছে একই গ্রামের সায়েদুল, বাবুল, ডালিম। হামলাকারীরা গৃহবধূকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, জমি নিয়ে বিরোধের কারনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম জানান, নিজেদের মধ্যে টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক পক্ষ অপর পক্ষকে মারধর করেছে। বিষয়টি যৌন নির্যাতন নয়। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :