ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে একতরফাভাবে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা নিয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনের অনুমতি ব্যতীত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা উচিত হবে না বলে জানিয়েছেন জেরুজালেমে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান।
রোববার ট্রাম্পের ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ প্রসঙ্গ এনে ইসরাইলকে এ সতর্কবার্তা দেন ফ্রিডম্যান।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ইসরাইল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। তবে ট্রাম্পের ডিল অব দ্য সেঞ্চুরিকে ইসরাইলের উপেক্ষা করা উচিত নয়। এমনটা হলে যুক্তরাষ্ট্র পরিকল্পনাটি এগিয়ে নেবে না আর। তাই ওয়াশিংটনের অনুমতি ব্যতীত পশ্চিম তীরে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা উচিত হবে না ইসরাইলের।
এক টুইটে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ফ্রিডম্যান বলেন, ইসরাইলের এখন ম্যানচিত্র তৈরির বিষয়ে যৌথ কমিটির সঙ্গে কাজ করা উচিত। কমিটির প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই একতরফা পদক্ষেপ গ্রহণ আমেরিকান স্বীকৃতি বিপন্ন করে।
সম্প্রতি ইসরাইলের পার্লামেন্টে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতলি বেনেট এবং অন্যান্য ইসরাইলি জাতীয়তাবাদীরা পশ্চিম তীরে তাদের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে মন্ত্রীসভায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
এর পরেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে ‘ট্রাম্পের ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি নেতানিয়াহুর জোটের অভ্যন্তরে থাকা জাতীয়তাবাদীদের এমন আহ্বানের বিরোধিতা করেন।
প্রসঙ্গত ঐতিহাসিকভাবেই মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ইসরাইলঘেঁষা। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতির ঘোষণা দেন।
এর পর ইসরাইলের সঙ্গে আর কোনো শান্তি আলোচনায় মার্কিন মধ্যস্থতা মানবে না বলে ঘোষণা দেন ফিলিস্তিনিরা।
পরে গত মাসের ২৮ তারিখে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, জেরুজালেম হবে ইসরাযইলের অবিচ্ছেদ্য রাজধানী। এছাড়া পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতির ওপর ইসরাযইলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার অঙ্গীকার করা হয়।
ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জারেড কুশনার এ পরিকল্পনার নেপথ্যে কাজ করেছেন। আরব লীগ ও ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্পের এই শান্তি চুক্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :